Thursday, January 21, 2021

Nagad's Journey so far

DFS Sector Overview
 
গত দশকে বাংলাদেশের ডিজিটাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস বা DFS সেক্টরের প্রবৃদ্ধি ছিল লক্ষণীয়। এই সময়ে বিকাশ, রকেট, নগদ ও সিউরক্যাশের উত্থানের কথা না বললেই নয়। বিভিন্ন সময় আনা হয়েছে নতুন নতুন পলিসি; ইন্ডাস্ট্রি প্লেয়াররাও Horizontal এবং Vertical partnership এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এনেছে। শুধু public-private partnership-ই নয়, Government-to-person বা G2P ফাইনান্সিং এবং ই-কমার্স ও এফ-কমার্স সেক্টরের উত্থান ডিজিটাল ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশনে সাহায্য করেছে যা DFS সেক্টরের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। 

গত দশকের DFS সেক্টরের গ্রোথের এই সময়টাকে তিন ভাগে ভাগ করা যাক - 

a) 2010 to 2013 - Bank-led vs MNO-led: এই সময়ের শুরুতে দেশের মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস বা MFS model bank-based হবে নাকি telco-based হবে এটা নির্ধারণের জন্য বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম চলতে থাকে। অবশেষে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১১ সালে MFS guideline প্রনয়নের মাধ্যমে bank-led MFS model-এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সময়টায় MFS provider company গুলোর সাথে কর্পোরেট পার্টনারশীপের মাধ্যমে অনেক কোম্পানি payroll disbursement শুরু করে।

b) 2014 to 2016 - Rise of Agent Banking and Public-Private Partnerships (PPP) in MFS: এই সময়ে MFS কোম্পানিগুলোর সাথে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দেশব্যাপী এজেন্ট নেটওয়ার্ক গঠন হওয়া শুরু হয়। এছাড়াও ব্যাংক এশিয়া এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের হাত ধরে এজেন্ট ব্যাংকিং এর যাত্রা শুরু হয়। 

২০১৬ সালের শুরু থেকে MFS provider-রা প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিতে বিভিন্ন Money Transfer Operator -দের সাথে চুক্তি সাক্ষর করে। এছাড়াও ইকমার্স কোম্পানিগুলোও বিকাশ, রকেটসহ অন্যান্য MFS provider গুলোর সাথে যুক্ত হয় যার ফলে কনজিউমারদের জন্য অনলাইনে কেনাকাটা সহজ হয়।

c) 2017 to 2019 - Tech Disruption in DFS: এই সময়ে গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং জনপ্রিয় হয়। iPay ও Dmoney, Payment Service Provider বা PSP license এর অধীনে অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এবং 2019 সালে আরেকটি PPP Model এর অধীনে MFS প্রোভাইডার হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ।

 

History of Nagad

Bangladesh Post Office বা BPO (৫১%) এবং Third Wave Technologies (TWTL - ৪৯%) এর যৌথ মালিকানায় প্রথম State-run MFS provider হিসেবে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে নগদ। তার আগেই দেশব্যাপী পোস্ট অফিসের প্রায় ১০,০০০ ব্রাঞ্চে নগদের সার্ভিস দেয়ার জন্য ব্র্যান্ডিং ও Technological Infrastructure প্রস্তুত করে গ্রাউন্ডওয়ার্ক করে রাখা হয়। BPO এর আগে ২০১০ সালে সহজে টাকা লেনদেন ও পেমেন্টের জন্য Postal Cash Card এবং Electronic Money Transfer System (EMTS) চালু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় মোবাইল মানি ট্রান্সফার প্রোভাইডার হিসেবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিস এক্ট ২০১০ এর অধীনে "নগদ" এর যাত্রা শুরু। শুরু থেকেই মূলত গ্রামাঞ্চলে Financial Inclusion বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে নগদ।

 
Nagad's Journey so far
 
টেকভিত্তিক Financial Inclusion, Product diversification, Process simplification, এবং Cross-institutional integration এর ক্ষেত্রে নগদ শুরু থেকেই জোর দিয়ে আসছে। MFS provider গুলোর মধ্যে নগদই প্রথম ডিজিটাল Know Your Customer বা KYC registration প্রক্রিয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে কাস্টমার তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি এবং সেলফি তুলে নগদের প্ল্যাটফর্মে দিলে প্রথমে ইলেকশন কমিশন ডাটাবেইজের সাথে ক্রসম্যাচ করা হয় এবং সেই পরিচয়পত্র স্ক্যান করার মাধ্যমে KYC form-এর জন্য যাবতীয় তথ্য পূরণ করে ফেলা হয়।

MFS provider গুলোর মধ্যে নগদই প্রথম ডিজিটাল Know Your Customer বা KYC registration প্রক্রিয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে কাস্টমারের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথমে ইলেকশন কমিশন ডাটাবেইজের সাথে ক্রসম্যাচ করা হয় এবং সেই পরিচয়পত্র স্ক্যান করার মাধ্যমে KYC form-এর জন্য যাবতীয় তথ্য পূরণ করে ফেলা হয়। 

মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক একাউন্ট ওপেনিং নগদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মোবাইল নম্বর বা সিম এর জন্য বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন আগেই সম্পন্ন করেছিল মোবাইল অপারেটররা। নগদ এই তথ্য কাজে লাগায়। কাস্টমাররা তাদের মোবাইল নম্বররের সাহায্যে খুব সহজেই একাউন্ট ওপেন করতে পারে। বাকি দরকারি তথ্য অপারেটরদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক একাউন্ট ওপেনিং-এর ক্ষেত্রে শুরুতে শুধুমাত্র টেলিটকের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকলে পরবর্তীতে গ্রামীণফোন ও রবির সাথেও চুক্তি স্বাক্ষর করে নগদ। Banglalink এর সাথে একই ধরণের চুক্তিও সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। 

বায়োমেট্রিক একাউন্ট ওপেনিং এর ক্ষেত্রে রবি-এয়ারটেল ও টেলিটক গ্রাহকেরা *167# ডায়াল করে এরপর পিন সেট করার মাধ্যমে সহজেই একাউন্ট করতে পারছেন। আগের মত NID বা ছবি দেয়ার প্রয়োজন হচ্ছেনা বলে কয়েক সেকেন্ডে MFS গ্রাহক হওয়া সম্ভব হচ্ছে। গ্রামীণফোনের সাথে ট্রায়াল পর্যায় শেষ হলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ সহজেই mobile money account খুলতে পারবে।  

গত বছরের জুলাইয়ে নগদের পক্ষ থেকে মোবাইল টপ আপ বিজনেসে প্রবেশ করার ঘোষণা আসে। ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে ২৬০০০ কোটি টাকারও বেশি রিচার্জ হয়েছে। এক্ষেত্রে Master SIM Card চালু করার প্রস্তাব করা হয় যার মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা BPO-এর ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে কানেক্টেড থাকবে এবং তাদের থেকে এজেন্ট ও রিটেইল পয়েন্ট হয়ে কাস্টমারের কাছে টাকা পৌঁছাবে।

বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, এবং গত এক বছরের মধ্যে এই বিষয়ে কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি, মোবাইল অপারেটররা এই বিষয়ে তাদের অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কারণ এক্ষেত্রে টপআপ বিজনেসের পুরো কন্ট্রোল একটি গভর্নিং বডির হাতে চলে যায়। আর টপআপ বিজনেসের মডেল অলরেডি প্রতিষ্ঠিত। এক্ষেত্রে নতুন এজেন্ট নিয়োগ খরচসাপেক্ষ ব্যাপার এবং অলরেডি প্রতিষ্ঠিত ডিস্ট্রিবিউশন মডেলটি নষ্ট হয়ে যায়। 

প্রতিষ্ঠার সাত মাসের মাথায়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর কাস্টমার সংখ্যার দিক থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের MFS Provider, রকেটকে ছাড়িয়ে যায় নগদ। নগদ হতে পাওয়া তথ্যসূত্র এবং tbs এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নগদ ইউজারের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি, এবং এই বছরের জুলাই পর্যন্ত এক্টিভ ইউজারের সংখ্যা ছিল ২ কোটির কাছাকাছি। ব্যবহারকারীদের সংখ্যার দিক দিয়ে নগদ MFS provider-দের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিষ্ঠার দশ মাসের মাথায় দৈনিক ১০০ কোটি টাকার ট্রান্সেকশনের মাইলস্টোন অতিক্রম করে নগদ। এই বছরের শুরু থেকে সব ধরণের সরকারি ভাতা নগদের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য নীতিমালা জারি করা হয়। যেটি নগদের ট্রান্সেকশনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করেছে। বিজনেস এক্সপানশনের অংশ হিসেবে মীনাবাজার, ইউনিমার্ট, বে এম্পোরিয়াম, ওয়াল্টন, এর মত ১২ হাজারের বেশি কোম্পানির মার্চেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছে নগদ।  সম্প্রতি কুরিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার Paperfly এর সাথেও চুক্তি সম্পন্ন করেছে নগদ যার মাধ্যমে Paperfly এর গ্রাহকেরা পণ্য পাওয়ার পরে নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও নগদ ৫০০র বেশি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছে যার ফলে ইকমার্স সেক্টরের সাম্প্রতিক pandemic-driven growth এর বেনিফিট নিতে পেরেছে কোম্পানিটি। মার্চের আগে ইকমার্স সেক্টরে যেখানে নগদের মাধ্যমে লেনদেন ছিল কয়েক কোটি টাকা, এপ্রিলের পর সেটা একশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। 

বাংলাদেশের MFS সেক্টরে গত দশকে বিকাশ অনেকটা একচেটিয়া ব্যবসা করেছে। নগদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এই মনোপলি ভাঙ্গা। সেই লক্ষ্যে তারা ভালই এগিয়েছে বলা যায়। ক্যাশআউট চার্জ কমানো এক্ষেত্রে একটি্ গুরুতবপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বছরের অক্টোবর মাস থেকে ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ৯.৯৯ টাকায় নামিয়ে আনে নগদ। অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এই চার্জের সাথে ভ্যাটসহ মোট ১১.৪৯ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে ক্যাশ আউট করতে পারে। USSD এর মাধ্যমে ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে ভ্যাটছাড়া হাজারে ১২.৯৯ টাকা এবং ভ্যাটসহ ১৪.৯৪ টাকা পরিশোধ করতে হবে। উভয়ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২১০০ টাকা ক্যাশ আউটের শর্ত প্রযোজ্য।  

Traditional banking service গুলোকে অনলাইনে বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেয়া থেকেই Neobank কনসেপ্টের উতপত্তি। মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকগুলো তাদের অনেকগুলো সার্ভিস অনলাইনেই দেয়। কিন্তু কোন ধরণের ফিজিকাল ব্রাঞ্চ ছাড়া সব ধরণের ব্যাংকিং সার্ভিস অনলাইনে দেয়ার concept-ই Neobank। নগদের সাথে সাথে ব্যাংক এশিয়াও দেশের প্রথম Neobank হওয়ার দৌড়ে আছে। এজন্য তাদের উভয়কেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। নগদ পুরোদমে চেষ্টা করছে এই ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার। নগদের লক্ষ্য হল তাদের সবগুলো সার্ভিস ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের সাহায্যও পাবে নগদ। যদি কাস্টমারদের ব্রাঞ্চে যেতেও হয় তাহলে পোস্ট অফিসের শাখা অফিসগুলোর মাধ্যমে সেবা নিতে পারবে তারা। এক্ষেত্রে নগদের নতুন কোন এস্টাব্লিশমেন্ট cost ব্যয় করতে হবেনা। 

প্যান্ডেমিকের মধ্যে বেশ কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নগদ। কোরবানি ঈদের আগে e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) ও Bangladesh Dairy Farmers Association (BDFA) এর সাথে সম্মিলিত উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অনলাইন Quarbani Haat চালু করে যেখানে disbursement partner হিসেবে নগদ কাজ করেছে। এছাড়াও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর জন্য ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছে কোম্পানিটি।


Nagad vs Other MFS Provider

বাংলাদেশ পোস্ট অফিস ও Third Wave এর Joint Venture হিসেবে ব্যবসা করলেও এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের MFS guideline এর অধীনে অপারেট করার লাইসেন্স পায়নি নগদ। প্রতিষ্ঠার এক বছর পর গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ছয় মাসের জন্য একটি NOC পায় কোম্পানিটি। ফুল-ফ্লেজড লাইসেন্স পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই Interim license দিয়ে অপারেট করছে নগদ। এই NOC এর মেয়াদ আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তারপরে নগদ বর্তমান জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির পরিবর্তে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের সাবসিডিয়ারি হিসেবে অপারেট করবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের MFS Guideline মেনে কাজ করবে। 

ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট লিমিটসহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নগদ অন্যান্য MFS provider দের তুলনায় শুরুতে কিছুটা Flexibility পেয়েছিল যা কোম্পানিটির দ্রুত কাস্টমার acquisition এ ভূমিকা রেখেছিল। তবে পরবর্তীতে নগদও ট্রান্সেকশন লিমিট কমিয়ে অন্যান্য MFS provider মত অফার করছে। এছাড়াও MFS guideline-এর আওতাধীন না থাকার কারণে নগদকে ডেইলি ট্রান্সেকশন বা সেটেলমেন্ট ডাটা প্রকাশ করতে হয়না।

 
Nagad Success Factors

কোন MFS Provider company সাক্সেসফুল কিনা এটা নির্ণয় করার জন্য আমরা কিছু ফ্যাক্টর বোঝার চেষ্টা করেছি। চলুন কোথায় নগদ সফল এবং কোথায় নগদ আরো কাজ করতে পারে দেখে আসা যাক -
 
a) First Mover Advantage: বাংলাদেশে প্রথম MFS provider হিসেবে কাজ করা শুরু করে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি রকেট। তার পরে আসে বিকাশ। পক্ষান্তরে নগদের আবির্ভাব গত দশকের শেষে। কোম্পানিটির পক্ষে ফার্স্ট মুভার এডভান্টেজ পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এটার ট্রেডঅফ হিসেবে নগদ যা পেয়েছে সেটাকেও ইগনোর করা যাবেনা। রকেট, বিকাশ যখন তাদের কার্যক্রম শুরু করে তখন MFS ইকোসিস্টেম বলে কিছু ছিলোনা। রকেট, বিকাশসহ অন্যান্য MFS কোম্পানিগুলোকে ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হয়েছে, কাস্টমারকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানাতে, বুঝাতে হয়েছে, কাস্টমার acquisition-এ অনেক সময় এবং অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। সেই সাথে সময়ের সাথে সাথে নিজেদের প্রোডাক্ট, সার্ভিস ও বিজনেস মডেলে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য কিছু এস্পেক্ট যেমন সেসময় মোবাইল ইন্টারনেট penetration কম ছিল, ইকমার্স সেক্টর ছিল শুরুর পর্যায়ে এবং অনলাইন পেমেন্ট ইকোসিস্টেমও প্রস্তত ছিলোনা। ২০১৮-২০১৯ সালে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে নগদ অনেক পরিণত মার্কেট ও ইকোসিস্টেম পেয়েছে যেটার বেনিফিট তারা দ্রুত কাস্টমার acquisition, বিভিন্ন ইউনিক প্রোডাক্ট introduction ইত্যাদির মাধ্যমে নিতে পেরেছে।

b) Competitive pricing: এপের মাধ্যমে ১১.৪৯ টাকায় ক্যাশআউটের সুবিধা দিচ্ছে নগদ। এছাড়াও এপের মাধ্যমে "Send Money" এর ক্ষেত্রে কোন টাকা চার্জ করেনা নগদ। দ্রুত কাস্টমার বাড়াতে এই ধরণের pricing model নগদকে এগিয়ে রেখেছে।

c) Unique/Personalized Service: নগদের ইউনিক প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মধ্যে digital KYC, মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কম সময়ে একাউন্ট ওপেনিং, MFS account ছাড়া টাকা পাঠানো, Digital Qurbani Haat ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও দেশের প্রথম Neobank দৌড়ে ব্যাংক এশিয়ার সাথে আছে নগদও।
 
d) Operating efficiency: digital KYC, NID-এর ছবি, সেলফির মাধ্যমে একাউন্ট ওপেনিং, শুধুমাত্র মোবাইল নং দিয়ে সবচেয়ে কম সময়ে এবং ঝামেলামুক্তভাবে MFS registration প্রথমে নগদই করেছে এবং পরবর্তীতে অন্য প্লেয়াররা সেটাকে ফলো করেছে। এক্ষেত্রে অজপাড়াগায়ে, বিশেষ করে যেসব জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা কম সেসব জায়গায় financial inclusion দ্রুততর হয়েছে।
 
e) Agent Network: দ্রুততম গতিতে কাস্টমার acquire করলেও এজেন্ট নম্বরের দিক দিয়ে বেশ পিছিয়ে আছে নগদ। যদিও নগদ তার এজেন্ট সংখ্যা প্রকাশ করেনা, ইন্ডাস্ট্রির অন্য দুই বড় প্লেয়ার বিকাশ (২৩০,৯৪৪) ও রকেটের (২৬৩,৯৬০) এজেন্ট সংখ্যার তুলনায় তা বেশ কম হবে। তবে mfs sector এ নগদ আসার দুই বছরও পার হয়নি। এক্ষেত্রে এজেন্ট সংখ্যা বাড়ানো এবং এফিসিয়েন্ট করার ক্ষেত্রে নগদের আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
 
f) Strategic Partnership: বিভিন্ন দেশী ও মাল্টিন্যাশনাল কনগ্লোমারেট, ইকমার্স, কুরিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার , ব্যাংক, insurance, Utility  ইত্যাদি অনেক কোম্পানির সাথে পার্টনারশীপের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্রাহকদের এপের মাধ্যমে বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে আসছে নগদ। এক্ষেত্রে অনলাইন ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এবং মুভি দেখা, ভ্রমণের টিকেট এপের মাধ্যমে কাটার ব্যবস্থা করাসহ আরো কিছু ক্ষেত্রে নগদ কাজ করতে পারে।
 
g) Data and Information: mfs provider হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে লিস্টেড না থাকার কারণে daily transaction, customer number, transaction settlement data প্রকাশ করতে হয়না। তবে ২০২১ সালের মার্চের পর পোস্ট অফিসের সাবসিডিয়ারি হিসেবে অপারেট করা শুরু করলে এবং bangladesh bank থেকে লাইসেন্স পেলে এসব তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে নগদকে। সংবাদপত্র সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিকে মাধ্যমে মাঝে মধ্যেই নগদ বিভিন্ন তথ্য ও ডাটা শেয়ার করে। এসব তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করলে নগদ সমপর্কে গ্রাহকদের ধারণা আরো ভাল হবে। 

h) Brand Value: ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানর জন্য নগদ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রমোশন তার কিছু উদাহরণ।

i) Tech Infusion: মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে টেকনলজি ইনফিউশনের ব্যাপারে কিছু ক্ষেত্রে মার্কেট লিডার বিকাশকে ফলো করে আসছে নগদ। ডিজিটাল KYC, biometric registration ইত্যাদি সবার আগে আনলেও অ্যাপে বিভিন্ন সার্ভিস ইন্টিগ্রেশনের ক্ষেত্রে বিকাশকে অনুসরণ করেছে কোম্পানিটি। এক্ষেত্রে একটি পরিপূর্ণ FinTech কোম্পানি হিসেবে establish করার ব্যাপারে কিছুটা ভিন্ন ভিশনে কাজ করছে নগদ। বিকাশ যেমন কাজ করছে একটি সুপার অ্যাপ বানানোর, নগদের লক্ষ্য হচ্ছে অ্যাপে বেসিক সার্ভিসগুলো দেয়ার মাধ্যমে কাস্টমার ধরে রাখা এবং Neobank model-কে establish করা। 

j) Funding Access: বিল গেইটস, Ant Group এর মত globally renowned investor পেয়েছে বিকাশ সেখানে foreign fundraising এর ক্ষেত্রে আরো কাজ করতে হবে নগদকে।

 
Conclusion
 
ডিজিটাল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলো personal ও বিজনেস finance এবং financial decision making এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নগদ তাদের ভিশন অনুযায়ী আগালে আমাদের গরীব জনগোষ্ঠী দেশের ফাইনান্সিয়াল এসেট জেনারেশনে অবদান রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে strong ও efficient agent network establish করা এবং নিজেদের ব্র্যান্ডভ্যালু আরো উন্নত করার পাশাপাশি ফরেইন ফান্ডরেইজিং এর ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে নগদ।


References:

  1. https://www.thedailystar.net/business/news/2010-2019-meaningful-decade-digital-financial-service-evolution-1908689
  2. https://theincap.com/a-meaningful-decade-for-digital-financial-services-dfs-evolution-in-bangladesh/
  3. https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2019/03/26/pm-opens-digital-financial-service-nagad
  4. https://en.prothomalo.com/business/Postal-Cash-Card-to-be-integrated-with-Visa
  5. https://www.banglanews24.com/english/national/news/bd/71490.details
  6. https://futurestartup.com/2018/11/03/nagad-goes-all-in-postal-division-initiates-nationwide-branch-inclusion-for-nagad/
  7. https://tbsnews.net/companies/nagad-outstrips-rocket
  8. https://tbsnews.net/economy/banking/interoperability-needed-break-monopoly-mfs-market-123337
  9. https://assetsds.cdnedge.bluemix.net/business/news/nagad-make-mfs-account-opening-faster-grameenphone-users-1961397
  10. https://tbsnews.net/economy/banking/nagad-looks-turn-digital-bank-123334
  11. https://nagad.com.bd/service/cash-out/ 
  12. http://m.thedailynewnation.com/news/268151/nagad-to-be-made-postal-subsidiary-company-from-march-2021
  13. https://www.thedailystar.net/business/news/mfs-limits-jacked-1746178
  14. https://www.thedailystar.net/business/news/nagad-make-mfs-sector-lopsided-1650133
  15. https://www.daily-sun.com/post/485768/Nagad-reducestransaction-limit-
  16. https://oltnews.com/new-mobile-money-business-in-bangladesh-receives-special-treatment
  17. https://www.newagebd.net/article/96814/nagad-robi-sign-deal-on-financial-inclusion
  18. https://tbsnews.net/economy/banking/dnccs-digital-haat-nagad-comes-payment-solutions-110344
  19. https://www.thedailystar.net/lifestyle/news/stress-free-digital-lifestyle-nagad-1999821
  20. https://www.thedailystar.net/opinion/finance/news/breaking-new-ground-why-bangladesh-should-adopt-digital-financial-services-1694377

 

 

 




No comments:

Post a Comment