বর্তমান "Doorstep Economy"-র যুগে আমাদের যা কিছু দরকার, তার মোটামুটি সবই কয়েকটি ক্লিকের দূরত্বে, এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের দুয়ারে হাজির করানো সম্ভব। আগে কুরিয়ারের মাধ্যমে শুধু চিঠি, দরকারি মালামাল ঘরে পৌঁছানো গেলেও টেক স্টার্টআপগুলোর মাধ্যমে খাবার, নিত্যদিনের জিনিসপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সার্ভিসও আমরা ঘরে বসেই নিতে পারছি। দেশীয় ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রির বয়স প্রায় ৮ বছর হয়ে গেলেও অধিকাংশ ফুড ডেলিভারি কোম্পানি এখনো কিছু প্রধান শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে সাস্টেইনেবল বিজনেস মডেলের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পুরো বাংলাদেশে সার্ভিস পৌঁছে দেয়ার পথে এগুচ্ছে তারা।
Source: Times of India |
THE JOURNEY: RESTAURANTS to FOODTECHS
দেশীয় ফুড-টেক কোম্পানিগুলোর গ্রোথের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফুড চেইনগুলোর বাংলাদেশে আগমনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। বাইরের কিছু নামকরা ফুড চেইন বাংলাদেশে ২০০০-০৯ দশক থেকেই ব্যবসা করছে। আর গত দশকে যারা এসেছে তাদের মাধ্যমে দেশের ফুড-টেক সেক্টর নতুন গতি পেয়েছে। রুট বিয়ারের জন্য বিখ্যাত A&W restaurant বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালে। আমেরিকান বার্গার চেইন বার্গার কিং বাংলাদেশে তাদের আউটলেট করে ২০১৬ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাশুয়াল ডাইনিং রেস্টুরেন্ট চেইন ঢাকার ধানমন্ডিতে তাদের প্রথম আউটলেট করে ২০০৭ সালে। আমেরিকান ডোনাট কোম্পানি এবং কফিহাউজ চেইন ২০১৬ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বিখ্যাত ইন্দোনেশিয়ান কাবাব স্টোর চেইন বাবা রাফি ও একই বছরে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৬ সালে কেএফসি আসে বাংলাদেশে; তবে ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার চল বাংলাদেশীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় Charoen Pokphand বা CP Fried Chicken এর হাত ধরে। ২০১৬ সালের মধ্যে ২৫০টির বেশি আউটলেট চালু করেছিল CP যার বেশিরভাগ ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট। ১৯৫৮ সালে Cansas-এ যাত্রা শুরু করা Pizza Hut ঢাকাতে আসে ২০০৩ সালে। গত দশকে বাংলাদেশে এসেছে Manhattan Fish Market, Gloria Jeans Cafe, Butlers Chocolate Cafe, Secret Recipe , Mainland China-সহ আরো অনেকেই।
২০১৭ সালের একটি রিপোর্ট মতে বাংলাদেশে রেস্টুরেন্ট বিজনেসের মার্কেট সাইজ ৪,৫০০ কোটির বেশি এবং Fast Food market size প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের একটি নিউজ রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেসময় দৈনিক ২৫,০০০ অর্ডার ডেলিভারি দিতো ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলো। বর্তমানে এই সংখ্যা ৫-১০ গুণ বাড়তে পারে। বাংলাদেশের ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান মার্কেট সাইজ ৩০-৫০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। ২০২০ সালের শুরু পর্যন্ত প্রধান ৪টি প্লেয়ার - HungryNaki, Foodpanda, Pathao Food এবং Shohoz Food - পুরো ইন্ডাস্ট্রির ৯০% মার্কেট শেয়ার দখল করেছে।
ফুড-টেক কোম্পানিগুলো গ্রোথের যথেষ্ঠ সুযোগ বাংলাদেশে রয়েছে। দেশের প্রায় ৪০% মানুষ এর বয়স ২৫ বছরের নিচে। ৩৫% এর বেশি মানুষ শহরে বাস করে যারা কম বেশি ফাস্টফুডের উপর নির্ভরশীল। কর্মজীবিদের সবচেয়ে বেশী ফাস্টফুডের উপর নির্ভর করতে হয়। সবসময় বাসায় সহকারী পাওয়া যায়না তাই বাসায় রান্না করার সুযোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম। কর্মক্ষেত্রে ও তার বাইরে ট্রাফিকে এত সময় চলে যায় যে বাসায় এসে রান্নার সুযোগ হয়না। কিন্তু এত lucrative মার্কেট থাকার পরও ফুড-ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাস্টমার এক্যুইজিশনের জন্য ডিস্কাউন্টের উপরই নির্ভরশীল থাকতে হয়। কারণ হোমমেইড খাবারের খরচের চেয়ে রেস্টুরেন্টের খাবারের খরচ এখনো অনেক বেশি। সাথে কোয়ালিটি কনসার্ন তো রয়েছেই। আল্টিমেটলি ফুড-টেক প্রোভাইডারদের নির্ভর করতে হয় রেস্টুরেন্টগুলোর উপর এবং শুরুর upfront cost, supply chain cost, ভ্যাট ট্যাক্স পেমেন্টসহ সবকিছু মিলিয়ে রেস্টুরেন্টগুলোতে price per meal এখনো বাড়তির দিকেই। ডেইলি ফুড কন্সাম্পশনের জন্য one-stop Go-to solution এর জায়গাটা এখনো ফুড কোম্পানিগুলো নিতে পারেনি। ডিস্কাউন্ট থাকলে এবং কোন স্পেশাল অকেশনে মানুষ রেস্টুরেন্ট বা এগ্রিগেটরগুলোর মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে থাকে।
FOOD-DELIVERY COMPANIES
HungryNaki: বাংলাদেশে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস প্রথম শুরু হয় HungryNaki-র মাধ্যমে, ২০১৩ সালে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে, ও কক্সবাজারে সার্ভিস দিচ্ছে কোম্পানিটি। অন্যান্যদের মত এগ্রেসিভ ডিস্কাউন্ট গেমে না গিয়ে steady growth এর দিকে ফোকাস করে HungryNaki। ডেইলি অর্ডার ডেলিভারির সংখ্যার ভিত্তিতে প্রায় ১০% মার্কেট শেয়ার দখল করা HungryNaki ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৫০০এর বেশি রেস্টুরেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। সম্প্রতি ই-কমার্স জায়ান্ট Alibaba, HungryNaki তে ইনভেস্ট করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
Foodpanda: বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশে কার্যক্রম চালু রেখেছে বার্লিন-ভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল ফুড ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইডার এবং রেস্টুরেন্ট মার্কেটপ্লেস Foodpanda। দেশের ৫০টিরও বেশি শহরে সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে কাভারেজের মধ্যে আনতে অনেকটা এগিয়ে আছে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা ফুডপান্ডা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪০০০ এর বেশি রেস্টুরেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া কোম্পানিটি ডেইলি অর্ডার ডেলিভারির সংখ্যার ভিত্তিতে ৩০% এর বেশি মার্কেট শেয়ার দখল করেছে। Customer acquisition ও retention এর জন্য aggressive ডিস্কাউন্ট দিয়ে থাকে ফুডপান্ডা।
Pathao Food: রাইড শেয়ারিং সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করার পর ২০১৮ সালে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস দেয়া শুরু করে Pathao। দ্রুত মার্কেট শেয়ার দখল করার জন্য শুরুতে অনেক এগ্রেসিভ ডিস্কাউন্ট পলিসি ফলো করতো কোম্পানিটি। এবং এক্ষেত্রে স্টার্টআপটি সফলও বলা যায়। খুব দ্রুত ৪০% এর বেশি মার্কেট শেয়ার অর্জন করা Pathao Food ২০১৯ সাল অবধি ৫০০০ এর বেশি রেস্টুরেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।
Shohoz Food: Shohoz তাদের অ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু সার্ভিস দিয়ে আসছে। সার্ভিসগুলোর মধ্যে বাইক রাইড শেয়ারিং, ট্রাক ভাড়া, লঞ্চ ও বাসের টিকেট কাটা, মুভি টিকেট কাটা এসবের সাথে Food-on-the-go সার্ভিসও আছে। ফুড ডেলিভারির ক্ষেত্রে ভাল লজিস্টিক সাপোর্ট, ফাস্টার ডেলিভারি ও ভাল কাস্টমার সার্ভিসের কারণে Shohoz জনপ্রিয়। কাস্টমার attract করার জন্য Shohoz ভালই discount offer ও প্রমো কোড অফার করে থাকে। ২০১৯ সালে কার্যক্রম শুরু করার ১ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১২০০র বেশি রেস্টুরেন্টের সাথে চুক্তি শেষ করেছিল Shohoz Food। তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে ১০% এর কাছাকাছি মার্কেট শেয়ার দখল করতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি।
Uber Eats: অনলাইনে ফুড অর্ডার এন্ড ডেলিভারি সার্ভিস Uber Eats, বিশ্বখ্যাত রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম Uber এর একটি সাবসিডিয়ারি। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে উবার ইটস। প্রথম দিকে Sushi Samurai, Pizza Guy, Cheez, Tehari Avenue, Salam’s Kitchen, Sultan’s Dine, Madchef এবং Chillox এর মত প্রায় ১৫০ টি রেস্টুরেন্ট কে পার্টনার হিসেবে নিয়ে ঢাকায় উবার ইটসের কার্যক্রম শুরু হয়। বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আর এক্সপ্যানশনের জন্য উবার ইটস এর কাছে ছিল হিউজ ক্যাপিটাল এক্সেস। তাই UberEATS একই সাথে ইন্টারন্যাশাল ব্র্যান্ড ভ্যালু, ডিস্কাউন্ট, অফার এবং বিভিন্ন প্রমিজের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি ভালো কাস্টমার বেইজ দখল করতে সক্ষম হয়েছিল । পরবর্তীতে অধিক সম্ভাবনা ও চাহিদা থাকায়, মার্চ ২০২০ এ প্রায় ২৫০টি রেস্টুরেন্ট কে পার্টনার হিসেবে নিয়ে চট্টগ্রামেও তাদের সার্ভিস চালু করে উবারইটস। কিন্তু কার্যক্রম শুরুর মাত্র ১ বছর পর, ২০২০ সালের জুনে উবার ইটস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ।
Khaas Food: ফ্রেশ, অর্গানিক, প্রিজারভেটিভমুক্ত ফল, গ্রোসারি আইটেম ও রান্না করার সামগ্রী সাপ্লাই দেয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে Khaas Food। কোন রান্না করা খাবার বিক্রি না করলেও রান্না করার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছুর জন্য One-stop Go-to provider হওয়ার পথে বদ্ধ পরিকর কোম্পানিটি।
Cookups: হোমমেইড খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু Cookups এর। রান্না করা খাবার ছাড়াও, হোমমেইড মধু, তেল আরো বেশ কিছু আইটেম পাওয়া যায় কোম্পানিটির ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। এছাড়াও তাদের ওয়েবব্লগে দেশের অনেক নামকরা শেফদের রেসিপি ফিচার করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ই-কমার্স পাইওনিয়ার Chaldal, Cookups-এ ইনভেস্ট করে।
HomeChef: Cookups এর মত প্রায় একইরকম বিজনেস মডেল ফলো করে আগাচ্ছে HomeChef। তবে Cookups যেখানে ডেলিভারি সার্ভিস আউটসোর্স করে সেখানে HomeChef তাদের শুরুর সময়টাই নিজদের ডেলিভারি টিমের মাধ্যমে কার্যক্রম চালাতো। HomeChef এর শুরুটা হয়েছিল হোমমেইড খাবারের রেসিপি শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
Foodfex: নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে পছন্দসই cuisine ও রেস্টুরেন্ট খুঁজে দেওয়া, এবং ফুড ডেলিভারি সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে ছোট পরিসরে শুধু চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে Foodfex।
Kludio: বাংলাদেশে ক্লাউড কিচেন বিজনেস শুরু হয় ফুড-টেক স্টার্টআপ Kludio-র হাত ধরে। ২০১৯ সালে ক্লাউড কিচেন বিজনেস শুরু করে Kludio। শুধু ফার্স্ট মুভারই নয়, Kludio দেশের প্রথম Full-stacked Cloud Kitchenও। খাবারের কোয়ালিটি মেইন্টেইনের পাশাপাশি সুপিরিয়র স্টোরেজ সিস্টেম, টেম্পারেচার রেগুলেশনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি ফাস্টার ডেলিভারির দিকে ফোকাস করছে স্টার্টআপটি। এখন পর্যন্ত তারা ৪টি ভিন্ন ব্র্যান্ড এনেছে - Dough on the Go, Hero Burger, Frybox, এবং Deshio। এছাড়াও ভারতীয় ক্লাউড কিচেন কোম্পানি Ghost Kitchens, Kludio-র সাথে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার পার্টনারশীপ সম্পন্ন করেছে যার মাধ্যমে নলেজ ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেশনাল cost কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও সম্প্রতি ফরেন ফান্ডও রেইজ করেছে স্টার্টআপটি।
Live Green Bangladesh: Kludio-র দেখাদেখি অন্যান্য ফুড প্রোভাইডারও ক্লাউড কিচেন বিজনেস শুরু করেছে। শুধু ক্লাউড কিচেন সার্ভিস দেয় এমন প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি হল Live Green BD। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তারা কার্যক্রম শুরু করে। এখন পর্যন্ত Live Green পাঁচটি ব্র্যান্ড launch করেছে। ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে TenR, SMARTMEAL, House of Shen, Lean On, এবং Wrapper।
এছাড়াও Food Chain Asia, Khaidai Today, Food Express, Food Pink, Fosto-সহ আরো অনেক কোম্পানিই সিমিলার বিজনেস মডেলে ব্যবসা করছে।
REVENUE MODEL
গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশের ফুড ডেলিভারি সেক্টর হাইপার কম্পিটিটিভ। যেকোন মার্কেটে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ইন্ডাস্ট্রির প্লেয়ারগুলোকে কোয়ালিটি প্রডাক্ট বা প্রাইস গেইমে যেতে হয়। এক্ষেত্রে ফুড ডেলিভারি মার্কেটে কমন স্ট্র্যাটেজি হল ডিস্কাউন্ট ওয়ার। বেইস লেভেল ডিমান্ড নির্ণয় করা রীতিমত অসম্ভব কারণ ডিস্কাউন্ট শেষ হওয়ার পর অনেকেই অর্ডার করা কমিয়ে দেয় বা একেবারেই অর্ডার করেনা।
ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে রেভিনিউ সোর্স দুটো - রেস্টুরেন্টগুলো থেকে পাওয়া কমিশন এবং ডেলিভারি চার্জ। প্রতি অর্ডারে ৫০-৭০ টাকা ডেলিভারি চার্জ থাকে এবং রেস্টুরেন্টগুলো থেকে ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইডাররা ২০-২৫% চার্জ করে থাকে। যদিও অধিকাংশ ফুড-ডেলিভারি কোম্পানিই তাদের ব্যবসার শুরুতে রেস্টুরেন্টগুলোর কাছ থেকে কোন কমিশন নিতোনা। এখনো একটা মিক্সড মডেলে কোম্পানিগুলো ব্যবসা করছে যেখানে কোন কোন রেস্টুরেন্ট থেকে কমিশন নেয় আবার কোনকোনটার থেকে নেয়না। ডিস্কাউন্টের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে কোন ফুডটেক কোম্পানিই বিজনেস মডেলে sustainability অর্জন করতে পারেনি। সে কারণে এরা কোনটাই এখনো প্রফিটেবল না।
INDUSTRY ANALYSIS - BANGLADESH & GLOBAL
টপ ফুড-টেক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশের ফুড-ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রি অনেক ছোট। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি সাইজ যেখানে ১০০ মিলিয়ন ডলারও পেরোয়নি, সেখানে পাশের দেশ ভারতের ফুড-ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রি সাইজ ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। শুধু এশিয়াতেই নয়, পুরো বিশ্বেই এক নম্বরে রয়েছে চায়নার ফুড-ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রি, যার মার্কেট সাইজ ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চায়নার প্রায় অর্ধেক মার্কেট সাইজ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সবচেয়ে Well-funded ফুড ডেলিভারি মার্কেট আছে US-এর। সব মিলিয়ে গ্লোবাল ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রির মার্কেট সাইজ প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলার। Doordash, Uber Eats এর মত Platform-to-Consumer সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে গ্লোবাল ফুড-টেক ইকোসিস্টেমের dynamics পরিবর্তন হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুরো বিশ্বের মাত্র ১১% মানুষ ফুড-টেক এপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে।
Reference
1. 8 Popular Online Food Home Delivery Services In Bangladesh (deshiz.com)
2. An Overview of the Restaurant Industry in Bangladesh (thestrategywatch.com)
4. IDLC Monthly Business Review
5. Eating out: International food chains operating locally (thefinancialexpress.com.bd)
6. The food franchise story | The Daily Star
7. Why Bangladeshi Young Entrepreneurs Should Invest in the Food Industry - Business Daily 24
8. The future of on-demand food delivery and COVID-19 | The Business Standard (tbsnews.net)
9. Industry Insights: Understanding the food delivery industry | The Daily Star
10. Meteoric rise of online food business | Dhaka Tribune
11. Plea to save the restaurant industry (thefinancialexpress.com.bd)
12. Foodpanda, Shohoz, Pathao Online Food Delivery services getting popular (thedailystar.net)
13. Shohoz launches food deliveries with 1000+ restaurants | Bangladesh Lifestyle
14. foodpanda: Food & Groceries delivery service in Bangladesh
15. Reasons why Alibaba might be interested in getting into food delivery service in BD | The Daily Star
16. Foodpanda faces Tk 3.4cr VAT evasion charge | The Daily Star
17. Foodpanda Vs. Restaurants, Internet and Aggregators, and What Restaurants Can Do - Future Startup
18. The Boom of Food Service Industry in Bangladesh - Bproperty
19. Ambareen Reza of Foodpanda shares insights of the food delivery business (icetoday.net)
20. Changing the scene with Chaldal and Cookups | The Daily Star
21. IDLC Monthly Business Review
22. Online Food Delivery Market in India 2020 - Research and Markets
23. Food Delivery App Revenue and Usage Statistics (2021) - Business of Apps
24. The Soon To Be $200B Online Food Delivery Is Rapidly Changing The Global Food Industry (forbes.com)
25. Online Food Delivery - worldwide | Statista Market Forecast
26. Indian online food delivery market to hit $8 bn by 2022: Report (livemint.com)
27. 7 years of Foodpanda: Nothing less than a rollercoaster ride | The Daily Star
No comments:
Post a Comment